শিশু সায়মাকে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় বোনসহ ২ জনের সাক্ষ্য

বহুল আলোচিত রাজধানির ওয়ারির সিলিভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তার বড় বোনসহ দু’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আব্দুল হান্নানের আদালতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সাক্ষ্য দেন বড় বোন ফারজানা ইয়াসমিন এবং প্রতিবেশী ফরহাদ হোসেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার তৌয়ব আলী বিষয়টি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিন কারাগার থেকে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২ জানুয়ারি মামলার একমাত্র আসামি হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

গত ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ধর্ষক হারুন অর রশিদকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মো. আরজুন।

গত ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পরদিন কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে ধর্ষক আসামি মো. হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গত বছরের ৮ জুলাই হারুন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দি দেয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

এ মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সামিয়া আফরিন সায়মা তার মাকে খেলার কথা বলে প্রতিবেশী মনির হোসেনের ফ্ল্যাটে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা বেজে গেলেও সামিয়া বাসায় ফিরে না আসায় তার মা তাকে ওই বাসায় খুঁজতে যায়। সেখানে সামিয়াকে না পেয়ে পরিবারের সবাই তাকে খুঁজতে থাকেন। অবশেষে বিল্ডিং এর ৯ম তলায় সামিয়ার পায়ের স্যান্ডেল দুটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্যান্ডেল দেখে সন্দেহ হলে ভেতরে গিয়ে রান্নাঘরে সামিয়ার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। সামিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামি। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, সায়মার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ময়নাতদন্তে তার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন, ঠোঁটে কামড়ের দাগ দেখা যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন